প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের মহিলা প্যানেল চেয়ারম্যান সালমা আক্তার বিউটি ও তার স্বামী প্রফেসর মো: ইসমাইল খোকন এর বিরুদ্ধে সহোদর ভাইদের কর্তৃক অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যান সালমা আক্তার বিউটি বলেন, আমি সালমা আক্তার বিউটি, ব্যক্তিগত জীবনে একজন শিক্ষক, রাজনৈতিক কর্মী এবং সর্বোপরি একজন সফল মা। আজকের এই পূর্ব প্রকাশিত সাংবাদিক সম্মেলনের প্রতিবাদ সভায় আমি আমার নিজের ব্যক্তিগত পরিচয় সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে না ধরে পারছিনা।
আমার শিক্ষা জীবন এম এ, বিএড সহ এমএড। আমি স্বনামধন্য কুমিল্লা বেলতলী হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক, দীর্ঘ ১৭ বছরের শিক্ষকতা জীবন আমার। এর পাশাপাশি একজন রাজনৈতিক কর্মী। আমি বর্তমান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক, সু-দীর্ঘ ২০ বছরের রাজনৈতিক জীবন আমার।
আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন মজুমদার দীর্ঘ ৫০ বছর বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর রাজনীতির সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। তিনি ছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন এবং কুমিল্লা সরকারি কলেজের ১৯৭৩ সালের প্রথম নির্বাচিত সংসদ ভিপি।
গত ০৩/০৩/২০২১ইং আমাকে জড়িয়ে আমার পরিবারের কতিপয় সদস্য আমার ব্যক্তিগত ও পরিবারিক সাফল্যে ইর্ষান্মিত হয়ে আমার রাজনৈতিক অর্জনে কালিমা লেপনের উদ্দেশ্যে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করে বিভিন্ন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে কতগুলো উদ্ভট, অসত্য, বানোয়াট, কুরুচিপূর্ণ, ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। আমি ও আমার পরিবার এই প্রকাশিত সংবাদের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।
আমি আজ এখানে উপস্থিত সকল সাংবাদিক ভাইদের সামনে এক এক করে প্রকাশিত মিথ্যা অভিযোগ গুলোর জবাব উপস্থাপন করবো।
আমার স্বামী মো: ইসমাইল খোকন কুমিল্লাস্থ আগানগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একজন সফল প্রভাষক। আমার পরিবারে চার সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান কুমিল্লা জিলা স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্র।
প্রতিটি পরিবারেই কিছুনা কিছু পারিবারিক সমস্যা থাকে। আমি কখনোই চাইনি আজ এসব বিষয় গুলো নিয়ে আপনাদের মুখোমুখি হতে হবে। আমাদের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রতিটা নারীই বঞ্চনার শিকার। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমার বিয়ে হয়েছে আজ ১৯ বছর। এই সময়টায় আমি আমার শাশুড়ি, দেবর, ভাসুর এবং ননদদের কাছ থেকে হেন কোন মানুষিক নির্যাতন নেই যে আমি ভোগ করিনি।
০৩/০৩/২০২১ইং তারিখ যে অভিযোগ গুলো উত্থাপন করা হয়েছে বাস্তবতা হচ্ছে সম্পুর্ন তার বিপরীত। অভিযোগকারীগণ আমার স্বামীর সমস্ত পৈতৃক সম্পদ, জায়গা জমি কুক্ষিগত করে রেখেছে। তারাই ফলজও গাছ কর্তন করে পুকুরের মাছ ধরে চলাচলের রাস্তা কেটে পারিবারিক নির্যাতন করেই চলছে।
অপর দিকে আমার স্বামী ইসমাইল খোকন তার জীবনের যত অর্জন পুরুটাই তার নিজের প্রচেষ্টায়। পরিবার থেকে পেয়েছে সুধুই লাঞ্চনা আর বঞ্চনা। তার ছয় ভাই বোনের মধ্যে একমাত্র সেই এম.এ পাশ এবং চাকুরীজীবী। তার এই সুপথে চলা তার অন্য ভাইবোন রা কখনো পছন্দ করেনি। ছোটবেলা থেকেই তারা সবসময় চাইতো সে যেন পরিবারের জমিজমা দেখভাল করেই সময় কাটায়। আমার বিয়ের পর থেকে তাকে দেখেছি সে একই সাথে নিজের পরিবার এবং নিজ পিতা-মাতাসহ সবাইকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নিজ দায়িত্ব পালন করছে। এবং এখনো করে আসছে।
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি হলফ করে বলতে পারি আমি সমাজের সাধারণ মানুষের উপকার ছাড়া কখনো ক্ষতি করিনি। যে অভিযোগ গুলো করা হয়েছে তার সপক্ষে কি তারা একটি প্রমাণও উপস্থাপন করতে পেরেছে?
আপনারা ভালো করেই জানেন আমার সু-দীর্ঘ প্রচেষ্টায় তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার। আমার এই অর্জনকে ধ্বংস করার জন্যেই আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় ষড়যন্ত্র মূলক ও মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এর তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।